চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, তরুণসমাজ, দেশের মানুষ, আপনাদের কাছে আমার আকুল অনুরোধ, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা রাখুন। এই দেশটা আমাদের। ইনশাআল্লাহ এখন থেকে আমরা অত্যন্ত সঠিক পথে অগ্রসর হব। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বহু প্রাণের বিনিময়ে এ বিজয় এসেছে। তাই ছাত্র-জনতাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসও করি না।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে নগরীর একে খান মোড়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু’র সভাপতিত্বে এতে মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, শাহেদ আকবর, ফজলুল হক সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি, শহীদ উল্লাহ বাহার, মিয়া মো. হারুন, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবদলের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, সেলিম রেজা, বিএনপি নেতা নুর বক্স মিলন, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক মো. হেলাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল হক টুটুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, এমদাদুল হক স্বপন, নগর যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ সাগির, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান(মাস্টার আরিফ), রাজিবুল হক বাপ্পী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, নগর যুবদলের সহ সম্পাদক মিজানুর রহমান দুলাল, হোসেন উজ জামান, পাহাড়তলী থানা যুবদলের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন, সদস্য সচিব শওকত খান রাজু, পাহাড়তলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আনিসুজ্জামান টুটুল, আব্বাস রিপন, থানা ছাত্রদলের আহবায়ক ওয়ালিদ আবীর, সদস্য সচিব আসলাম আজমী হিমু, ইপিজেড থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মিজান, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, মো. ইউনুছ, বাদশা আলমগীর, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. মুজাহিদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বিজয়কে সংহত করার জন্য সকল নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণ মানুষের জানমাল বিশেষ করে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে। কেউ যদি অন্য কোনো জায়গায় পালিয়ে গিয়ে থাকে, বিচারের চেষ্টা সেটার জন্য ব্যাহত হবে না। কিন্তু সন্দেহের বশবর্তী, আক্রোশের বশবর্তী, প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে কেউ কারো ওপর আক্রমণ করবেন না। ধ্বংসযজ্ঞ, লুটতরাজ, হানাহানি করে যেন কেউ আমাদের জাতীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।