“ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ পালন উপলক্ষে “সড়ক হোক সকলের জন্য নিরাপদ” শ্লোগানকে সামনে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর উদ্যোগে গঠিত পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) চট্টগ্রাম।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ অক্টোবর নগরীর চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও চাঁদগাও সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে প্রচারণা কর্মসুচি পরিচালিত হয়। আয়োজিত কর্মসুচির্তে সভাপতিত্ব করেন পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট কলামিষ্ট মুহাম্মদ মুসা খান।
প্রচারণা কর্মসুচিতে সংহতি জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কমল চক্রবর্তী, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইদুর রহমান মিন্টু, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, সাবেক কাউন্সিলর ও পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) এর যুগ্ম আহব্বায়ক জেসমিন খানম, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি সায়মা ছাত্র নেতা ও ক্যাব যুব গ্রুপের সদস্য রাইসুল ইসলাম, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, ক্যাব নেতা এম এ আওয়াল শাহীন, সবুজের যাত্রার নির্বাহী পরিচালক সায়েরা বেগম, পিআইজি এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর সৈয়দ আবুল হাসান আজমী, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি) এর সদস্য, খাদিজা আক্তার, তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।
প্রচারণা কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ও সড়কে যাত্রীদের করনীয় সম্পর্কে পথচারী ও যাত্রীরা অবহিত নয়, যাত্রীদের অজ্ঞতার সুযোগে অনেকেই আইন না মানার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। সড়কের অবকাঠামোগত দুর্বলতা, চালক ও হেলপারের বেপরোয়া গাড়ী চালানো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরবতা ও সক্ষমতার দুর্বলতার কারনে সড়কে নৈরাজ্য ও মৃত্যুর মিছিল থামছে না। কিন্তু এত হতাশার মাঝেও ৫ আগষ্টের যোদ্ধারা দেখিয়েছে চাইলে পরিবর্তন সম্ভব। আর সেকারনে বর্তমান তরুন প্রজন্মের কাছে মানুষের আশা আকাংখার পরিমান অনেক বেশি। আগষ্ঠ যোদ্ধাদের হাত ধরে একদিন দেশে সড়কে নৈরাজ্য ও মৃত্যুর মিছিল থামবে।
বক্তারা আরও বলেন একটি পরিপূর্ন নিরাপদ সড়ক আইনের জন্য ২০১৮ সালে কোমলমতি শিশুরা আন্দোলন করলেও প্রকৃত অর্থে নিরাপদ সড়ক আইন প্রণীত হয়নি। প্রণীত আইনে বাস মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করার কারনে নতুন একটি পরিপূর্ণ নতুন নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়নের দাবি আবারও সাধারন জনগনের অন্যতম দাবিতে পরিনত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্ঠের পরে সড়কপথে শৃংখলা ফেরাতে ছাত্র-যুবরা যেভাবে দায়িত্ব নিয়েছিলো, ঠিক একইভাবে নতুন নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়নের দাবিতে তরুন সমাজকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়ন হবে এ প্রত্যাশা করেন।
বক্তারা বলেন প্রতিদিন নগরীতে মৃত্যুর মিছিলে কেউ সন্তান হারা, কেউ মা-বাবা কেউ বা আবার স্বজন হারালেও প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মৃত্য যেন সকলের গা সওয়া হয়ে আছে। কিন্তু যারা আত্মীয়স্বজন হারাচ্ছেন অথবা দুর্ঘনায় যাদের অঙ্গহানি ঘটছেন তারাই জানেন এই যন্ত্রনা কত কঠিন। অনেক সম্ভাবনাময় জীবন অকালে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সড়ক দূর্ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধের পাশাপাশি পথচারী ও যাত্রী হিসাবে আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে।
পরিশেষে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে্র অধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তফা কামালকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।