চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত হতে বাকী শুধুমাত্র আগামী একটি নির্বাচন:সুজন

89

চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত হতে বাকী শুধুমাত্র আগামী একটি নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

Advertisement

আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উৎসব মুখর করতে বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আউটার রিং রোডের সংযোগস্থল সংলগ্ন সী-বিচের মূল পয়েন্টে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত উন্নয়ন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মন্তব্য করেন সুজন।

এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আগামী দিনের গুরুত্বকে মাথায় রেখে চট্টগ্রামকে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত করে তোলার জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দূরদর্শী নেতৃত্বে। বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র জয়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বিশাল অংকের টাকা ব্যয়ে টানেল নির্মাণের মাধ্যমে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, টানেলকে কেন্দ্র করে আনোয়ারায় বিশাল শিল্পাঞ্চল, বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, টানেলকে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের সম্প্রসারণসহ নানামূখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায়। পাশাপাশি আউটার সিটি রিং রোডের মাধ্যমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করা ও মূল শহরকে বাদ দিয়ে বাকী বাংলাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন সাধন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে বিমান বন্দর থেকে মূল শহরে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরী করা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায়। বে-টার্মিনাল নির্মাণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এ বন্দরটি সিঙ্গাপুরের বন্দরের উপযোগী করে গড়ে তোলা, চায়না ইকোনমিক জোন, মহেশখালী ইকোনমিক জোন, এলএনজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্রবন্দর, কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পটিকে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডরে যুক্ত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা এক কথায় শুধু প্রশংসনীয় নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যাদুকরী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশও বলা চলে। আর এতোসব উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে চট্টগ্রামকে বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নগরী হিসেবে উপস্থাপনের জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতেই অপরূপভাবে চট্টগ্রামকে সাজিয়ে তুলছেন। তাই চট্টগ্রামকে সিঙ্গাপুরের মতো নগরীতে রূপান্তর করতে প্রয়োজন শুধুমাত্র আগামী একটি নির্বাচন। যেখানে দেশের জনগন ভোট দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পূণরায় নির্বাচিত করবেন। তারই আলোকে আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে চট্টগ্রামবাসীর কাছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উৎসব মুখর করতে নাগরিক উদ্যোগ এ উন্নয়ন উৎসবের আয়োজন করেছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা চট্টগ্রামবাসীকে আহবান জানাবো পলোগ্রাউন্ড ময়দানের জনসভায় যোগদান করার জন্য। আর চট্টগ্রামবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস দীর্ঘ ১০ বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পলোগ্রাউন্ড জনসভা চট্টগ্রামবাসীর জন্য উন্নয়নের নতুন স্বপ্নদুয়ার খুলতে যাচ্ছে। তাইতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে সে ঘোষণা শুনতে উন্মুখ হয়ে আছে বীর প্রসবিনী চট্টলার লাখো লাখো জনতা।

নাগরিক উদ্যোগ আজ বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আউটার রিং রোডের সংযোগস্থলে আকর্ষনীয় কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনী বার্তা পৌঁছে দিতে চায়।

শনিবার বিকাল থেকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার শুরুতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে অতিথিদের আগমন, বেলুন উড়িয়ে উন্নয়ন উৎসবের শুভ উদ্বোধন, জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্নবোধক জাগরণী গানের পরিবেশনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন গাঁথা প্রচার, বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ঢোল ও বাঁশির সুরের মুর্ছনায় মনোরম সুন্দর সাংস্কৃতিক বিকাল আর শীতকালীন রকমারি পিঠাপুলি পরিবেশন করে নগরবাসীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমন্ত্রণ শেষে সী-বিচে মনোমুগ্ধকর আতশবাজি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে যে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্ঠা তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য বলে অভিমত অনুষ্ঠানে আগত অভ্যাগতদের। ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার যে প্রয়াস তা দীর্ঘদিন নগরবাসীর মনিকোঠায় জ্বলজ্বল করবে বলেও আশাবাদ আয়োজকদের। সন্ধ্যায় মুর্হুমুহু আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে উঠে পুরো সী-বিচ এলাকা।

Advertisement