চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক: শামীম

55

বাংলাদেশ সারাবিশ্বে অসাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়ে এখন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাতের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

Advertisement

সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনে হামলা-ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এসব কথা বলেন।

ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিগত ষোলটি বছর স্বৈরতন্ত্র বলবৎ রাখতে ভারত নগ্নভাবে আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এদেশের জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় প্রদান পূর্বক সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় এদেশের মানুষের মাঝে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আরও তীব্র হয়েছে। এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক। এটা ভারতের শাসকগোষ্ঠী যতো দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা মঙ্গলজনক হবে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, কোনো সভ্য দেশের মানুষ কখনও অন্য দেশের দূতাবাসে হামলা করতে পারে না। ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হবে। কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে আমাদের রাজা-প্রজার সম্পর্ক হতে পারে না।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে দিল্লির দাদাদের দাদাগিরি করার জন্য না।

উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব শামসুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম ফয়েজ, ইস্কান্দর মির্জা, মুজিবুল হক, মোহাম্মদ মহসিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, জাফর আহমেদ, এ কে খান, গাজী আইয়ুব, এম এ সবুর, নুরু উদ্দিন হোসেন নুরু, আবু মুসা, মোহাম্মদ আজম, ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।

সমাবেশে শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর নুর আহমদ সড়ক, লাভ লেইন মোড়, এনায়েত বাজার মোড়, জুবলি রোড হয়ে রিয়াজ উদ্দিন বাজার তিন পুলের মাথায় এসে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।

Advertisement