গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় এবার ড্রাম চিমনীতে পুড়ছে ইট

219

ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় ড্রাম চিমনী দিয়ে ইট পোড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ফকিরা চাঁন এলাকার গ্রামীণ ব্রিকস নামক ইটভাটায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিপ্তর, র‍্যাব, পুলিশ যৌথ অভিযানে পাইন্দং ফকিরা চাঁন এলাকার গ্রামীণ ব্রিকস নাজিরহাট পৌরসভায় হালদা ব্রিকস এবং সুয়াবিলে জেএন ব্রিকস গুড়িয়ে দেয়। কিন্তু অভিযানের পর দিন থেকেই হালদা ব্রিকস ও গ্রামীণ ব্রিকস টিনের তৈরী ড্রাম চিমনী ব্যবহার করে পূণঃরায় ইট পুড়ানো শুরু করে।

এদিকে গতকাল বুধবার যৌথ বাহিনী আবার অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট সুরাইয়া ইযাছমিন। তিনি পাইন্দং এসএন্ডবি ব্রিকস ও একতা ব্রিকস গুড়িয়ে দেয়ার পর নাজিরহাটস্থ হালদা ব্রিকসটির ড্রাম চিমনী আবার গুড়িয়ে দেয়। কিন্তু বহাল তবিয়তে ড্রাম চিমনী ব্যবহার করে ইট পুড়াতে ব্যস্ত রয়েছে পাইন্দং গ্রামীণ ব্রিকস।

অপর দিকে গত ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর পাইন্দং, নাজিরহাট, সুয়াবিল, ধর্মপুর, নানুপুর, খিরাম এলাকায় যৌথ বাহিনীর ফুটো করে দেয়া ইট ভাটা গুলো পূণঃরায় ইট পুড়ানোর খবর পাওয়া গেছে।

প্রশাসন গুগিয়ে দেয়ার পরও কেন নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনী ব্যবহার করে ইট পুড়ানো হচ্ছে জানকে চাইলে গ্রামীণ ব্রিকসের মালিক মো. নাসির উদ্দিন জানান, বেশ কিছু কাঁচা ইট রয়েছে। তাই এগুলো ড্রাম চিমনী দিয়ে পুড়িয়ে নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উদ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবার অভিযান পরিচালনা করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement