মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে হাটখোলা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কবিতা উৎসব ও সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বেতারের কর্মকর্তা ও শিল্পী আবদুর রহিম। আজ শনিবার (১৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠানে কাজী রুনু বিলকিসের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড.শিরিণ আকতার বলেন, বাঙালি মানেই কবি, বাঙালিরা জীবনের কোন এক সময় এক লাইন হলেও কবিতা লেখার চেষ্টা করে। কবিতা বাঙালির বিদ্রোহের হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুও কবি, তিনি আমাদের জাগানোর কবি, রাজনীতির কবি, আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদষ্টা। আজ বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলার গড়ার পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতি দিয়ে আমরা রুখে দিব সকল অপসংস্কৃতিকে। বঙ্গবন্ধুকে আমরা আমাদের প্রজন্মের মননে পৌঁছে দিব। বঙ্গবন্ধুর মতো করে আলো দিয়ে সকল অন্ধকার দূর করতে আমরা কাজ করে যাবো। কবিতার জয় হোক।
অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষা, বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একাত্তরের আগে কখনো জাতি হিসেবে বাঙালিরা স্বাধীন ছিলনা। নবাব সিরাজদৌল্লা কখনো বাঙালি ছিলনা। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালির স্বাধীনতার জন্য ২৩ বছরের সংগ্রাম শেষে তার ডাকে একাত্তরের নয়মাস মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন দেশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আমরা যদি সবাই নিজেদের সেইভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে এই মুজিবশত বর্ষ সফল হবে। যারা বঙ্গবন্ধু কোন গোষ্ঠী বা দলের নয়, তিনি সকলের, সকল বাঙালির। যারা বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করে দেখার চেষ্টা করেন তাদের এই কথা মনে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন, কবি স্বপন দত্ত,খুরশীদ আনোয়ার, ওমর কায়সার,আবু মুসা চৌধুরী, রিজোয়ান মাহমুদ, আকতার হোসাইন, জিন্নাহ চৌধুরী,কামরুল হাসান বাদল,সেলিনা শেলী,শুকলাল দাশ, ভাগ্যধন বড়ুয়া, মনিরুল মনির,আলী প্রয়াস,শাহীন মাহমুদ,আজিজ কাজল, মাইনুর নাহার।
কবিতা আবৃত্তি করেন, রাশেদ হাসান, কংকন দাশ, মিশফাক রাসেল,ফারুক তাহের,বিশ্বজিৎ পাল, সেলিম রেজা সাগর, এটিএম সাইফুর রহমান, রুনা চৌধুরী, বর্ষা চৌধুরী, সেঁজুতি বড়ুয়া,উমেসিং মারমা উর্মি।
সংগীত পরিবেশন করেন, আবদুর রহিম, শাহরিয়ার খালেদ, ইকবাল হায়দার, লাকী দাস। যন্ত্রানুষঙ্গে আশা অর্কেস্ট্রা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.শিরীণ আখতার,চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, হাটখোলা ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি কাজী রুনু বিলকিস। অতিথিদের উত্তীরিয় পরিয়ে দেন কবি ইউসুফ মোহাম্মদ।