চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবিতা লিখলেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত

62

রূপে মুগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে কবিতা লিখেছেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র। রোববার নগরের টাইগারপাস এলাকায় সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতে কবিতাটি পড়ে শোনান রাষ্ট্রদূত।

Advertisement

অড টু চিটাগং— কবিতাটি শুনে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মেয়র রেজাউল। এ সময় এশিয়ার দুই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রূপরেখার নানা দিক নিয়ে আলাপ হয় দুজনের মধ্যে।

এ সময় মেয়র বলেন, এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মাঝে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে কাজে লাগালে দুটি দেশই আর্থিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে লাভবান হতে পারে। ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ফিলিপাইন এই সোনালী সুযোগকে কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করলে বেশ লাভবান হবে।

এ সময় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমি এতটা মুগ্ধ যে চট্টগ্রাম নিয়ে কবিতা লিখেছি। রিকশা, রিকশার পেইন্টিং এবং সজ্জা বেশ চমৎকার লেগেছে আমার। পাহাড়, নদী, গাছ আর রঙিন ফুলে ভরা চট্টগ্রামের উচিত পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা।

তিনি বলেন, আমি মনে করি পর্যটন খাত চট্টগ্রামকে বিশ্বের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে পারে। চট্টগ্রাম কেবল বাণিজ্যিক নগরীই নয় বরং অবসর বিনোদনের নগরীতেও পরিণত হবে।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, বাংলাদেশস্থ ফিলিপাইন অ্যাম্বাসির থার্ড সেক্রেটারি ও ভাইস কনসাল মারিয়া তানিয়া বি গৌরানো, কমিউনিকেশন অফিসার ও এটাশে ওয়েম্পার জন এল পাসোক, চট্টগ্রামে ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল জেনারেল আবদুল আউয়াল, ফিলিপিন কনস্যুলেট চট্টগ্রামের চিফ অফ স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement